চাইনীজ গোলাপ বা জবা
আমার ছাদ বাগানের জবা
Hibiscus এর প্রজাতিসমুহের মধ্যে বাংলাদেশে জবাই সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ফুল । সবার কাছে অতি পরিচিত এই ফুলের গাছ সারা দেশেই দেখতে পাওয়া যায় । জবা একটি ঝোপ জাতীয় গাছ । ঘন সবুজ পাতা ডিম্বাকৃতি, তবে পাতার অগ্রভাগ সরু ও কিনারা করাতের ন্যায় খাঁজকাটা । জবা গাছ সাধারনতঃ গাছ ৮-১০ ফুট উঁচু হয়ে থাকে । তবে টবে রোপন করলে জবা গাছকে কেটে ছোট আকৃতির রাখতে হয় । জবা প্রধানত লাল রঙের হয়ে থাকে । তবে বর্তমানে অনেক সংকর বের করার কারণে সাদা, গোলাপী, বেগুনী ও কমলা রঙের জবাও পাওয়া যায় । জবা ফুল ঠোঙ্গা আকৃতি, পঞ্চমূখী থোকা আকৃতির হয়ে থাকে । এছাড়াও আরেক ধরণের জবা দেখা যায় যা নিচের দিকে ঝুলে থাকে । মরিচের মত নিচের দিকে ঝুলে থাকে বলে একে লঙ্কাজবা বলা হয় ।
জবা খুবই কষ্টসহিষ্ণু গাছ । অনেকটা অযত্ন অবহেলাতেই বেড়ে উঠে । আমাদের গ্রাম গঞ্জে প্রায় বাড়িতেই দু একটা জবা গাছ দেখা যায় । সারা বছর ফুল ফোটে । ফুলের গন্ধ নেই । তবে দেখতে খুবই সুন্দর । এর বংশবিস্তারও খুব সহজ । বর্ষাকালে জবার ডাল কেটে এনে কিছুটা ভিজা মাটিতে রোপন করতে হয় । বাড়ির ছাদে লাগাতে চাইলে ১২-১৪ ইঞ্চি টবে রোপন করলেই চলবে ।
জবা ফুলে আছে অনেক ঔষধি গুনাগুণ । তবে বিভিন্ন রকমের জবার মধ্যে পঞ্চমূখী জবাই ভেষজ গুণে শ্রেষ্ঠ ।